মোহাম্মদ আককাস আলী :
নওগাঁয় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে আমন ধান, আগাম আলু, সরিষা ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা কৃষকদের জন্য গুরুতর সমস্যা তৈরি করেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে, ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে এবং কিছু সবজিতে পচন ধরেছে। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কার্তিক মাসে সাধারণত হালকা বৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক।
এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আলু আবাদের জন্য কোথাও কোথাও প্রস্তুত করা হয়েছিল জমি।
কোথাও সদ্য রোপণ করা হয়েছে বীজ। বৃষ্টিতে বেশিরভাগ জমিতেই পানি জমেছে। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা। শুধু আলু ক্ষেত নয়, আগাম জাতের শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, মূলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যে-সব ক্ষেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়াও মাঠের আধা-পাকা ধান হেলে পড়েছে। গড়াগড়ি খাচ্ছে পানিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোমায়রা মন্ডল জানান, হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিতে আমন ধান ও সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেও ভারী বর্ষণ হয়নি। সবেমাত্র আলু রোপণ শুরু হয়েছে। যে-সব জমিতে আলু লাগিয়ে ৮-১০ দিন হয়েছে, সেগুলোর ক্ষতি হবে না। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও ধানের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। ধানের জন্য বৃষ্টি কিছুটা আশীর্বাদ। ক্ষেত থেকে পানি সরে গেলে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি জানান, জেলায় এবছর আমন ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে।
